১. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!একাধিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, এক কাপ ফোটানো পানিতে পরিমাণ মতো হলুদ গুঁড়ো, তার সঙ্গে মধু এবং পরিমান মত আদা মিশিয়ে খেলে শরীরে ভিটামিন সি সহ অন্যান্য ভিটামিনের প্রবেশ ঘটে। সেই সাথে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, সহ আরও প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি দূর হয়। এরফলে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় অনেক রোগবালাই আপনার কাছ থেকে দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক উপকার র ঘটে, যেটি শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বার করে দেওয়ার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এছাড়া দেহের জমে থাকা মেদকে ঝরিয়ে ফলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই তো বলি বন্ধু, যারা অল্প সময়ে ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিনের ডায়েটে হলুদ চা রাখতে ভুলবেন না।
২. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:
একেবারে ঠিক শুনেছেন আপনি! চোখের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হলুদ চা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আসলে হলুদের ভিতরে উপস্থিত উপকারি উপাদানগুলু, শরীরে প্রবেশ করার পর যেমন রেটিনার ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি চোখে প্রোটিনের মাত্রা নিয়নত্রণে থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখে। তাই যারা দিনের মধ্যে ৮-১০ ঘন্টা কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করুন, তাদের নিয়ম করে হলুদ চা পান করা উচিত।
৩. রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে:
বেশ কিছু গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন রক্তে জমতে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে স্বাভাবিভাবেই হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। আসলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমতে শুরু করে, তত হার্টের সাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনাও কমে।
৪.ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেন অনুযায়ী হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ, শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার ধারে কাছেও আসতে পারে না। এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন হলুদ চা খাওয়া কতটা প্রয়োজন।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
হলুদ চা শরীরে ঢোকার পর বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন একেবারে হাতের মুঠোয় চলে আসে।
৬. স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে:
নিয়মিত হলুদ চা পান করলে দেহে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যার প্রভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি ঘটে, ফলে ছোট-বড় সব ধরনের স্কিন ডিজিজের প্রকোপ হ্রাস পেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, সোরিয়াসিস এবং একজিমার মতো মারাত্মক স্কিন ডিজিজে এই বিশেষ পানীয়টি বিশেষ উপকারি।
৭.হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
বাঙালি মানেই ঐতিহ্যগত খাদ্যরসিক, আর পেটুক মানেই বদহজম নিত্যদিনের সাথী! এই জন্যই প্রতিটি বাঙালির নিয়ম করে প্রতিদিন হলুদ চা খাওয়া উচিত। হলুদে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান অন্ত্রে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ার শক্তিমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এরফলে হজম ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে বদ-হজম ১০০ হাত দূরে থাকে।
৮. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:
হলুদে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের দেহ থেকে বের করে দেয়। ফলে ব্রেন কোষের ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায়। এছাড়া কার্কিউমিন মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন, তাই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
৯. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, নিয়মিত হলুদ চা খেলে হৃদপিন্ডে রক্ত সরবরাহকারি শিরা ধমনী দের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। শুধু তাই নয়, স্ট্রোকের মতো মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ও কমাতে সাহায্য করে। তাই হৃদপিন্ড কে যদি দীর্ঘদিন চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে হলুদ চা খাওয়া চাই!
১০. অ্যালঝাইমার্স রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন নামক উপাদান ব্রেন কোষের যাতে কোনও ভাবে ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখে। তাই তো নিয়মিত হলুদ চা খাওয়া শুরু করলে ব্রেনের ক্ষমতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে মস্তিষ্ক সম্পর্কিত কোনও রোগই ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই যাদের পরিবারে এই ভয়ঙ্কর রোগের ইতিহাস বিদ্যমান, তাদের নিয়মিত হলুদ চা খাওয়া শুরু করা উচিত।
এবার নিশ্চয় আপনি বুজে গেছেন ,সাধারণ চায়ের পরিবর্তে হলুদ চা খাওয়ার প্রয়োজন কতটা…!